বাংলাদেশি app দিয়ে টাকা ইনকাম | বাংলাদেশি app দিয়ে টাকা ইনকাম 2021 — বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আপনারা চাইলে স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুব সহজেই অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ইন্টারনেট থাকা আবশ্যক। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে অনলাইনে স্মার্টফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বাছাইকৃত সেরা কয়েকটি অনলাইনে ইনকাম করার অ্যাপস সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মনে রাখবেন আমরা যেসব অ্যাপ সম্পর্কে আলোচনা করবো সেগুলো কোনো লোকাল অ্যাপ নয়।
আপনি একটু খোঁজ করলেই অনলাইনে বিশেষ করে ইউটিউবে হাজার হাজার অনলাইনে ইনকাম করার অ্যাপ পেয়ে যাবেন। কিন্তু সত্যি কথা বলতে তারা বেশিরভাগই ফেক হয়ে থাকে। কিন্তু এই আর্টিকেলটিতে সম্পূর্ণ জেনুইন অ্যাপস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো থেকে আপনি সত্যিকার অর্থেই পেমেন্ট পাবেন। আমাদের দেখানো বাংলাদেশি app দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ গুলো থেকে আপনারা চাইলে মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তবে সেটা নির্ভর করবে আপনার কাজের ওপর।
বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম বা বাংলাদেশি ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করার সবচেয়ে বড় বেনিফিট হচ্ছে এসকল অ্যাপ থেকে পেমেন্ট রিসিভ খুবই সহজ। যেকোনো অ্যাকাউন্টে বিকাশ, নগদ বা কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে খুব সহজেই পেমেন্ট নিতে পারবেন। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে, বাংলাদেশ থেকে কোন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়।
বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে অনলাইন আয় করার সুবিধা গুলো কি কি? তাছাড়া বাংলাদেশি app দিয়ে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়। আমরা আপনাদের এসকল প্রশ্নের উত্তর নিচে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। যদি আপনি বাংলাদেশি app দিয়ে টাকা ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তবে নিচের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়ে নিন।
১। বিকাশ (BKASH)
আপনারা চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসে বিকাশ অ্যাপ থেকে মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। বিকাশ মূলত ব্রাক ব্যাংকের একটি অ্যাপস। সুতরাং এই অ্যাপ থেকে আপনি নিশ্চিতভাবে পেমেন্ট পাবেন। প্রথমদিকে বিকাশের কোনো অ্যাপ ছিল না তারা ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে তাদের লেনদেন প্রক্রিয়া চালু রাখতো। তবে বর্তমানে তারা নিজস্ব অফিশিয়াল অ্যাপ বের করেছে। অ্যাপের প্রমোশন করার জন্য তারা সবার জন্য রেফারেল ইনকাম এর সুবিধা করে দিয়েছে।
অর্থাৎ যদি আপনার
আগে থেকেই বিকাশ একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি বিকাশের রেফারেল প্রোগ্রাম থেকে অন্য
একজনকে নতুনভাবে বিকাশের সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে বিকাশ অ্যাপ থেকে একটি কমিশন
পাবেন। অর্থাৎ ধরুন আপনার এমন একজন বন্ধু রয়েছে যার বিকাশ একাউন্ট আছে কিন্তু সে
কখনও তার স্মার্টফোনে লগ-ইন করে নি।
প্রথমে আপনাকে
তাকে আপনার বিকাশ রেফারেল লিঙ্ক দিতে হবে। সে যদি সেই লিঙ্ক থেকে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড
করে লগইন করে তাহলে আপনি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত পাবেন। এমন একজনকে যদি রেফার
করাতে পারেন যে কোনো দিনও বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলেনি, তাহলে আপনি তার মাধ্যমে ১০০ টাকা
রেফারেল বোনাস পেতে পাবেন।
তবে বর্তমানে
আপনি বিকাশ থেকে রেফার বোনাস প্রতিটি ইউজারের বিনিময়ে কত পাবেন তা বিকাশ
কর্তৃপক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হবে। যদি আপনি মাসে এভাবে ৩০০ থেকে ৪০০ একাউন্ট খুলে
দিতে পারেন তাহলে আপনার প্রতি মাসে ইনকাম দাঁড়াবে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা।
২। নগদ (NAGAD)
বিকাশের মতোই আরেকটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ হচ্ছে নগদ। নগদ অ্যাপটি নতুন হওয়ায় এটি বর্তমানে রেফারেল প্রোগ্রাম চালু করেছে। মূলত নগদ অ্যাপটির গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে নগদের এই আয়োজন। যদি আপনি পুরাতন নগদ ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি প্রথমবার নগদ অ্যাপে লগইন করার মাধ্যমে ওয়েলকাম বোনাস হিসেবে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনার রেফারেল লিংক থেকে যদি কাউকে রেফার করাতে পারেন তাহলে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আপনি ১০০ থেকে ২০০ টাকা বোনাস পাবেন। এছাড়া বর্তমানে নগদের একটি নতুন সার্ভিস মুনাফা লাভ চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ আপনি নগদে টাকা সঞ্চয় করার মাধ্যমে মাসিক মুনাফা পেতে পারেন।
৩। Uber Driver –Best Earning Android App
যদি আপনি ঢাকার মতো বড় রাজধানী শহরে পার্টটাইম কাজের জন্য একটি চাকরির খোঁজ করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য একটি ভালো কাজের অপরচুনিটি রয়েছে। যদি আপনি বাইক অথবা গাড়ি চালাতে পারেন তাহলে আপনার জন্য এটি খুবই ভালো একটি খবর। প্রিয় পাঠক, আপনি বর্তমানে বাইক অথবা গাড়ি চালিয়ে খুবই সহজেই নিজের প্যাশনকে আপনার অর্থ ইনকামে পরিণত করতে পারবেন। Uber Driver এর মতো সংস্থাগুলো আপনার জন্য সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
এখন নিশ্চয় আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগছে যে, ভাই আমার তো কোনো বাইক অথবা গাড়ি নাই। আমি কিভাবে বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করবো অর্থাৎ আমি কিভাবে Uber অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করবো। চিন্তা করবেন নাম কারণ আপনার গাড়ি অথবা বাইক না থাকলেই Uber থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তো প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই ড্রাইভিং পেশায় কাজ করতে চান তাহলে Uber অ্যাপের মধ্যে Sign up করুন। তারপরে আপনার আর কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে সেগুলো অনলাইন থেকে বিস্তারিত জেনে নিন, সকল কিছু ঠিকঠাক হলে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। প্রিয় পাঠক, আপনি এই ড্রাইভিং সার্ভিস দিয়ে প্রতি মাসে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ এটি দৈহিক পরিশ্রম অ্যাপ শুধু একটি মাধ্যম মাত্র।
৪। cWork
cWork হচ্ছে মূলত একটি বাংলাদেশি মাইক্রো জব করার অ্যাপ। এই অ্যাপটি বেশ ভালো উন্নতির শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। এই বাংলাদেশি অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি চাইলে মাইক্রো জব করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম, সার্ভে করে টাকা ইনকাম, অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম, বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম, অ্যাডে ক্লিক করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এটি একটি মাইক্রো জব প্লাটফর্ম এই সাইটে সাধারণ কিছু কাজ করেই টাকা ইনকাম করা যায়। এই অ্যাপে কাজ করার জন্যে বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয়না। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ এবং অ্যাপটি থাকলেই হবে। ২০১৬ সালে জিপি এক্সিলারেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমেই cWork অ্যাপটি অনুমোদিত হয়েছে। বাংলাদেশি app দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্যে বাংলাদেশের ৫টি সেরা স্টার্টআপের মধ্যে হচ্ছে এটি একটি।
এই অ্যাপটি একটি অসাধারণ মাইক্রো জবপ্লেস। বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন। cwork এই নাম টাইপ করে গুগল প্লে স্টোরে সার্চ করলেই অ্যাপটি পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপে আপনারা লিখালিখি করে ইনকাম করতে পারবেন। নিউজ, ব্লগ টাইপ করে সহজেই ইনকাম করা যায়। আপনি আপনি এখানে সার্ভে পূরণ করেন, কোনো মাইক্রো টাস্ক সম্পন্ন করেন। তাহলে আপনি তার জন্যে সর্বনিম্ন ২ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন? আপনি কি কাজ করছেন অথবা কিংবা কোন জবটি সম্পন্ন করছেন? তার উপরে টাকার পরিমাণ নির্ভর করবে।
CWork ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটিতে মূলত আর্টিকেল রাইটিং করে বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়। বিভিন্ন নিউজ অথবা ব্লগ লিখে আপনি ভালোমানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এই বাংলাদেশি অ্যাপটিতে আপনি যা লেখালেখি করবেন সেগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়। কাজেই নিজে থেকে একটি ধারণা রাখতে পারবেন। যেখানে, আপনি একজন কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করছেন। যে কি-না এই এপে লেখালেখি করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্যে আর্টিকেল বানাচ্ছে।
এই সাইটে কিছু শক্ত নিয়ম কানুন রয়েছে। যেমনঃ আপনি চাইলেই কোনো একটি কনটেন্ট কপি ব্যবহার করতে পারেন না। সম্পূর্ণ নিজের টাইপ করা অরিজিনাল কন্টেন্ট কিংবা ব্লগ পোস্ট এই অ্যাপে সাবমিট করা যাবে। যদি তাদের নিয়ম কানুনএর বিরুদ্ধে কিছু করে থাকেন, তবে সেটার জন্য আপনার অ্যাকাউন্টের ক্ষতি হতে পারে। cWork ওয়েবসাইটে যখন ইচ্ছে হবে তখনই আপনি বিকাশের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। তা নিয়ে কোনো প্রকার দ্বিধাগ্রস্ত হতে হবেনা।
৫। মেসো (MEESHO)
Meesho এমন একটি অ্যাপ থেকে যেকোনো পণ্য অনলাইনে রিসেল করতে পারবেন। ধরুন একটি পণ্যের দাম ২০০ টাকা আপনি সেই পণ্যটি মেসো অ্যাপের মাধ্যমে ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে আপনি যেকোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন। আর শিপিংয়ের ব্যাপারে আপনাকে টেনশন নিতে হবেনা তা সম্পূর্ণ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। মূলত Meesho অ্যাপ থেকেই ক্রেতারা আপনার প্রাইস দেখবে। আর প্রাইসেই প্রোডাক্টটি ক্রয় করতে হবে। বিক্রি করার পর আপনার ভাগে যা লাভ হবে তা আপনার একাউন্টে অটোমেটিকলি জমা হয়ে যাবে।
৬। ফ্রেপ (FRAP)
এই অ্যাপসটি মূলত ছবি সংগ্রহ করে থাকে। আপনার বিয়ের অনুষ্ঠান বা যেকোনো ইভেন্টের ছবি তাদের কাছে সেল করতে পারেন। তারা মূলত এই ছবিগুলো কোনো নিউজ বা প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে কাজে লাগায়। অত;এব আপনি ঘরে বসেই শখের তোলা ছবিগুলো বিক্রির মাধ্যমে এই অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৭। সোয়াগবাকস (SWAGBUCKS)
আপনি Swagbucks থেকে ঘরে বসেই সার্ভে কমপ্লিট করে, গেম খেলে বা
ভিডিও দেখে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি তাদের অ্যাপস অথবা তাদের
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে একই কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
৮। সেবা বন্ধু (SHEBA BONDHU)
এখন আপনি যদি চান তাহলে আপনিও তাদের সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি তাদের সাথে সরাসরি কাজ করতে কোনো প্রকারের সমস্যা হয়, তাহলে আপনি ঘরে বসে Sheba Bondhu থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনারা যেমন বিকাশ, নগদের রেফার করার বিনিময়ে ইনকাম সম্পর্কে জেনেছেন। ঠিক একইভাবে Sheba Bondhu তেও আপনাকে রেফার করে টাকা আয় করতে হবে। অন্যান্য অ্যাপগুলোর তুলনায় এই অ্যাপে রেফারেল বোনাস অনেক। সাধারণত অন্যান্য অ্যাপে রেফারেল বোনাস ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি Sheba Bondhu থেকে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত রেফারেল বোনাস পেতে পারেন।
৯। Sheba Delivery
সেবা ডেলিভারি হচ্ছে sheba.xyz ওয়েবসাইটের একটি উদ্যোগ। এই আন্ড্রয়েড অ্যাপ গুগল প্লে-স্টোর থেকে সহজেই ডাউনলোড করা যায়। সেবা ডেলিভারি অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো জায়গাতে পার্সেল ডেলিভারি করতে পারবেন। এই অ্যাপটি sheba.xyz এর একটি অফিশিয়াল সেবা। আপনি ডেলিভারি কাজ করে খুবই সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে হ্যাঁ এই অ্যাপ দিয়ে কাজ করার পূর্বে তিনটি প্রয়োজনীয় বিষয় রয়েছে। আপনি আপনি সেবা ডেলিভারি ম্যান হিসেবে অথবা রাইডার হিসাবে কাজ করতে চান, তাহলে তা মানতে হবে।
১। অবশ্যই একটি স্মার্টফোন প্রয়োজন হবে।
২। আপনার একটি আন্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। যে অ্যাপটি sheba delivery নামে পরিচিত।
৩। তাছাড়া একটি বাইসাইকেল অথবা বাইক এর দরকার হবে। আপনি যদি নিজেই এড্রেস অথবা একজন ডেলিভারি পার্সেল বা ডেলিভারি ম্যান হিসাবে কাজ করতে চান।
এছাড়াও নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ডের দরকার হবে। যদি আপনার ১৯ বয়সের কম হয়ে থাকে, তাহলে ডেলিভারি করার কাজে অংশ নেয়াটা উচিত হবে না। পরবর্তীতে যদি কোনো একটি ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকে। সেটাকে ব্যবহার করতে পারবেন নিজেকে ভেরিফাই করার জন্য।
১০। Pathao Drive
প্রিয় পাঠক আমরা ৩ নাম্বার স্টেপে Uber Drive ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করার সম্পর্কে আলোচনা করলাম। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে আরেকটি জনপ্রিয় টাকা ইনকাম করার অ্যাপের নাম হচ্ছে পাঠাও ড্রাইভ। যদি আপনি শহরঞ্চলে বসবাস করেন তবে আপনি খুবই সহজেই নিজের বাইক অথবা গাড়িকে টাকা ইনকাম করার বাহনরূপে পরিণত করে নিতে পারবেন।
এখন আপনার মাথায় হয়তোবা একটি বিষয় ঘোরপাক খাচ্ছে যে আমার তো কোনো গাড়ি অথবা বাইক নেই। চিন্তার কোনো কারণ নেই, যাদের বাইক নেই শুধুমাত্র সাইকেল থাকলে তারা ইনকাম করতে পারবে। বাংলাদেশের অনেক যুবক এই সার্ভিস দিয়ে প্রতিমাসে ২৫০০০ হাজার টাকা থেকে অথবা তার চেয়েও বেশি পরিমাণে ইনকাম করে করছে। আপনি যদি পার্ট টাইম কাজের জন্যে কোনো একটি জব খুঁজে থাকেন তাহলে পার্মানেন্ট চাকরির পাশাপাশি এই সার্ভিসটিকে ব্যবহার করে আপনি ভালোমানের একটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বন্ধের দিনগুলোতে এই সার্ভিসের মাধ্যমে কিছু এক্সট্রা টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে যুক্ত হওয়া অনেক বেশি খুব সহজ, গুগল প্লে স্টোর থেকে পাঠাও অ্যাপ ইনস্টল করে নিন। তারপরে অ্যাপের মধ্যে আপনি ৪টি অপশন দেখতে পারবেন। যেমনঃ অটোরিক্সা ও সাইকেল, মোটরসাইকেল, গাড়ি। যে বাহনটি ব্যবহার করে আপনি সার্ভিস দিতে চাচ্ছেন সেই বাহনটিকে সিলেক্ট করে নিন। পরবর্তী ধাপে এনআইডি কার্ডের তথ্য ও ছবি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির তথ্য ইত্যাদি গুলোকে ফিলাপ করে রেজিস্টার কৃত সদস্য হয়ে যান। ব্যাস, একবার রেজিস্টার কৃত হয়ে গেলে আপনি এই সার্ভিসের সাথে কাজ করতে পারবেন। এবং বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
শেষ কথা
আপনারা এই সবগুলো বাংলাদেশি app দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন। আপনার মনে রাখবেন এই অ্যাপগুলো আপনাকে কখনোই চিরস্থায়ী ইনকামের ব্যাবস্থা করে দিতে পারবে না। আপনারা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বা পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে নিজের হাত খরচ উঠাতে পারবেন। মূলত আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত সময় থাকে অর্থাৎ যে সময় আপনি অবসর থাকেন সেই সময় এই অ্যাপগুলোতে কাজ করা সবচেয়ে ভালো। তবে হ্যা আপনি এই অ্যাপগুলো থেকে নিশ্চিত ভাবে পেমেন্ট পাবেন।